একবার বিদেশ থেকে এক ব্যাক্তি এখানে বেড়াতে আসলো। আর সে উক্ত বাড়িতে গিয়ে উঠলো।ওই বাড়ির মালিক তখন জীবিত ছিলেন। তিনি তাদের যথেষ্ঠ যত্ন-আত্তি করলেন। তাদের সাথে একটা ছোট বাচ্চা ছিল। যার বয়স মাত্র ছয় বছর ছিল। সে প্রায়ই সময় উক্ত বাড়ির পশ্চিম পাশে গিয়ে বসে থাকতো বা খেলা করতো। আর সেখানে অনেক বড় একটা পুকুর ছিল।সেই পুকুরে উক্ত বাড়ির মালিক ভয়ংকর সব মাছ চাষ করতেন। ছেলেটা এসব জানতো না। ওই পুকুরে কারো নামা নিষেধ ছিল। একদিন সে খেলতে খেলতে উক্ত পুকুরের কাছে চলে যায়। তখন পা পিছলে সে পুকুরে পড়ে যায়। তার মা তখন পাশেই ছিল। ছেলের পানিতে পড়ে যাওয়া দেখে তিনি চিৎকার করে উঠলেন। তৎক্ষণাত মালিক দৌড়ে এসে দেখেন এই অবস্থা। তিনি তার মাকে পুকুরে নামতে নিষ্ধে করলেন। কিন্তু সন্তানহারা মা কেন শুনবে তার কথা। তিনি ঝাঁপ দিলেন পুকুরে। অমনি পুকুরের নিচ থেকে ইয়া বড় একটা মাছ ভেসে উঠে তাদের দুইজনকে মুখে নিয়ে পানির নিচে চলে গেল। ছেলেটির বাবা তখন একটু বাহিরে গিয়েছিলেন। এসে যখন শুনলেন এই অবস্থা।তখন তার মাথা খারাপ হয়ে গেল। তিনি উক্ত বাড়ির মালিককে পাশে থাকা দাঁ নিয়ে কোপ দিতে গেলেন অমনি মালিক সরে গিয়ে তাকে ডাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দিলেন। একসাথে তিনজনেরই জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলো।
এই হলো উক্ত পুকুরের কাহিনী। ক্যাপ্টেন হাসান এই বাড়িতে এসে তল্লাশি দিলেন। তখন হঠাৎ এই বাড়িতে কিছু অদ্ভূত জিনিষ আবিষ্কার করেন।যেমন,এখানকার আলমারিগুলো নতুন। অথচ ক্যাপ্টেন হাসান গ্রামবাসীদের
থেকে জেনেছেন,এই বাড়িতে গত পাঁচ বছর
কেউ থাকে না।তিনি তার এক সহকর্মীকে বললেন,আলমারিতে কি আছে দেখো তো।তার কথায় তিনি সেটা খুললেন। খুলে ভিতরের জিনিষ দেখে সবাই অবাক হয়ে গেল। সাধারণত ভূতের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য যেসব জিনিষপত্র ব্যবহার করা হয়, সব এখানে আছে।ক্যাপ্টেন তখন পুরো বাড়ি চেক দিলেন। ঘরের এখানে ওখানে ছড়িয়ে আছে টাকা-পয়সা। তবে অধিকাংশই নকল টাকা। এর মধ্যে হঠাৎ একজন একটা রুম আবিষ্কার করলো। সেখানে একটা সুরঙ্গ খোঁড়া আছে। ক্যাপ্টেন তখন বললেন, তার মানে এরা মূলত মানুষ। আর তারা বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য এই সুরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। আর গ্রামবাসীরা যত ভূত দেখেছে সব-ই এই মুখোশের কারসাজি।ক্যাপ্টেন তখন তার রিভলভার নিয়ে আর অন্যান্যরা সম্পূন্ন পজিশন নিয়ে উক্ত সুরঙ্গে প্রবেশ করলো।অনেকদূর যাওয়ার পর তা একটা ঘরের মধ্যে গিয়ে উঠলো।তারা সেই ঘরে অভিযান চালিয়ে কাউকেই ধরতে পারেন নি।কারণ কেউই নেই। তবে সুখের বিষয় হলো, নুহাশপুর গ্রামের যত দামী দামী জিনিষ হারিয়েছে, সবই এখানে আছে। ক্যাপ্টেন তখন দেখলেন টেবিলের উপর একটা কাগজ রাখা। তাতে লেখা, ক্যাপ্টেন! মনে রেখো, আমরা আবার আসবো। ভূতেরা কখনো মরে না।
সমাপ্ত !!