* আব্দুর রহমান আল হাসান
আমাদের এই বাংলাদেশের সূচনা ১৯৭১ সনে এক যুদ্ধের মাধ্যমে। যাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধ নামে অবহিত করে থাকি। এই যুদ্ধে যেমন বাংলার সকল শ্রেণীর লোকেরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অংশগ্রহন করেছিল, ঠিক তেমনি আলেম সমাজের বড় একটি অংশও এতে অংশগ্রহন করেছিল। কেউ কেউ সরাসরি ময়দানে একে AK-47 ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শত্রুর ঘাটিতে। কেউ কেউ অন্যদের এই যুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য প্রেরণা দিয়েছিলেন। আমরা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা করি। তাদের মধ্যে যারা এই যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদেরকে আমরা শহীদ হিসেবে সাব্যস্ত করি। কিন্তু আজ একটি নির্মম সত্যকে কিছু মুসলিম নামধারী সেক্যুলার এবং নাস্তিক, বামপন্থি - রামপন্থিরা মাটিচাপা দিয়ে তারা এই নতুন প্রজম্মকে ভুলেভরা ইতিহাস শিক্ষা দিচ্ছে। এই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার বহু পূর্বে যখন আওয়ামিলীগ বিভিন্ন সভা-সেমিনার করে , সেসব সকল কিছুতে আমরা ইসলামের ছাপ পরিপূর্ণরুপে দেখতে পাচ্ছি। ১৯৬৯ সনে প্রস্তাবিত খসড়া সংবিধান সংশোধনী বিলে “ইসলামি রিপাবলিক অব পাকিস্তান” শিরোনামসহ এর ইসলামি আদর্শ বহাল রাখার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সম্মতি জানিয়েছিল।১
১৯৭০ সালের ৭ ই জুন দৈনিক ইত্তিফাকে একটি রিপোর্ট ছাপা হয়। সেখানে বলা হয়, কোরআন ও সুন্নাহের নির্দেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে যাতে কোনো আইন পাস না হইতে পারে, তজ্জন্য আওয়ামী লীগ শাসনতান্ত্রিক বিধান রাখার কথাও দলীয় কর্মসূচীতে ঘোষণা করে। শাসনতন্ত্রের মাধ্যমে ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষার গ্যারান্টি দেওয়া হইবে এবং সকল পর্যায়ে ধর্মীয় শিক্ষাদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হইবে। আইনের দৃষ্টিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম-মর্যাদার অধিকারী বলে বিবেচিত হইবে এবং আইনের মাধ্যমে সমানভাবে তাদের নিরাপত্তাবিধান করা হইবে। সংখ্যালঘুদের নিজ নিজ ধর্ম আচরণ, প্রচার ও ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহনের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকিবে। নিজ নিজ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করার ব্যাপারেও তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকিবে। ২
১৯৭০ সনের নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের আগে টিলিভিশনে বঙ্গবন্ধু একটি ভাষণ দেন । সেইখানে তিনি বলেন , আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে , আমরা ইসলামে বিশ্বাসে নই । এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো , লেবেলসম্মত ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী , ইনসাফপূর্ণ ইসলামে বিশ্বাসী। আমাদের ইসলাম রাসূল সা. এর ইসলাম। ৩
এবার আসি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় বেতারের মধ্যে ইসলামিক পরিভাষা ব্যবহার।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতার-রেডিও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাদের কারণে বাংলার অসহায় মানুষ যুদ্ধ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা লাভ করতো। তারাও কিন্তু সেই সময় বিভিন্ন ইসলামিক পরিভাষা ব্যবহার করে মানুষকে যুদ্ধে উৎসাহিত করতো। তার মধ্য থেকে কিছু উল্লেখ করছি।
২৬ মার্চে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয় । এরপর ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত এখান থেকে মোট ১৩ টি অধিবেশন সম্প্রচার করা হয়। প্রথম অধিবেশনে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর ২৬ মার্চ সন্ধা ৭ টা ৪০ মিনিটে ”স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে বলছি”এ বাক্য দ্বারা শুরু হয় দ্বিতীয় অধিবেশন। কবি আব্দুস সালাম কর্তৃক কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অধিবেশন। ৪
সেই অধিবেশনে কবি আব্দুস সালাম একটি ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা এখন পর্যালোচনা করবো, তাতে কি কি ইসলামিক শব্দ তিনি ব্যবহার করেছিলেন।
”নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লি আলা রাসূলিহীল কারীম।
আসসালামু আলাইকুম ।
প্রিয় বাংলার বীর জননীর বিপ্লবী সন্তানেরা। স্বাধীনতাহীন জীবনকে ইসলাম ধিক্কার দিয়েছে। আমরা আজ শোষক প্রভুত্বলোভীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছি। এই গৌরবোজ্জ্বল স্বাধিকার আদায়ের যুদ্ধে, আমাদের ভবিষ্যৎ জাতির মুক্তিযুদ্ধে মরণকে বরণ করে যে জান-মাল কোরবান দিচ্ছি , কোরআন করিমের ঘোষণা - তারা মৃত নহে , অমর ।
দেশবাসী ভাইবোনেরা , আজ আমরা বাংলার সংগ্রাম করছি।আল্লাহর ফজল করমে বাংলার আপামর নর-নারী আমাদের কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে সংগ্রাম করে চলেছেন। আর সবখানে আমাদের কর্তৃত্ব চলছে । আমরা যারা সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছি-তাদের আপনারা সকল প্রকার সহযোগিতা দিন। এমনকি খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও সহায়তা দিন। স্মরণ রাখবেন দুশমনরা মরণকামড় দিয়েছে। তারা এ সোনার বাংলাকে সহজে তাদের শোষণ থেকে মুক্তি দিতে চাইছে না । কোনো অবাঙালী সৈনিকের কাজেই সাহায্য করবেন না। মরণ তো মানুষের একবার। বীর বাংলার বীর সন্তানেরা শৃগাল-কুকুরের মতো মরতে জানে না। মরলে শহীদ , বাঁচলে গাজী। ৫
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কলকাতা বেতার স্টেশন থেকে বিশ্ববাসীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর একটি বক্তব্য প্রচার করা হয়। তাতে আমরা দেখি সর্বশেষে বঙ্গবন্ধু বলেন ,
May Allah Bless You And Help In Your Struggle For Freedom . JOY BANGLA .
অর্থ্যাৎ এ মুক্তিসংগ্রামে আল্লাহ তোমাদের উপর রহমত এবং সাহায্য করুন। জয় বাংলা। ৬
এবার আমরা একটু দেখবো , মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কারা ছিল এবং কেমন পোশাক তারা পরিধান করতো ?
আমাদের বাংলাদেশে তথাকথিত এক শ্রেণীর ইসলাম বিদ্ধেষীরা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য রাজাকারের সাথে দাড়ি, টুপি এবং পাঞ্চাবী-পায়জামা খাছ করে দিয়েছে। তারা সাধারণত মনে করে থাকে, কেবল পাকিস্তানের সঙ্গে সমরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও শাসকের বিরুদ্ধে নয় অথবা পশ্টিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব বাংলার নয়, মুক্তিযুদ্ধের লড়াইটা বুঝি একই সঙ্গে ইসলামের বিরুদ্ধে হয়েছিলো। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে ”রাজাকার” শব্দটার যে চিত্রকল্প তৈরি করে, তা একজন পরহেজগার মুসলমানের ছবি।
মূলত এই রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়েছিল পাকিস্তান সরকারের উদ্যোগে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তা করার জন্য। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনী এবং রাজাকার বাহিনীর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করেই মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো। ১৯৭১ সালের ১ই জুন জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তান রাজাকার অর্ডিন্যান্স জারি করে আনসার বাহিনীকে রাজাকার বাহিনীতে রূপান্তরিত করেন। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৭ই সেপ্টেম্বর জারিকৃত অধ্যাদেশে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের সেনাবাহিনীর সদস্যরূপে স্বীকৃতি দেয়। রাজাকার বাহিনীছিল প্রশিক্ষিত প্যারা মিলিটারী বাহিনী । অনেক ক্ষেত্রেই তারা উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। তাদের ইউনিফর্ম ছিল , বেতন ছিল এবং সামরিক সদস্যদের মতো রেশনও ছিল। রাজনৈতিক কমিটমেন্ট নিয়ে হয়তো কেউ কেউ রাজাকার বাহিনীতে নাম লিখিয়েছিল, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দরিদ্র কর্মহীন যুবকেরা রোজগারের আশায় দলে দলে রাজাকার বাহিনীতে ঢুকেছিল।
এবার আমরা একটু আলোকপাত করি যে, রাজাকার মূলত কারা ছিল?
সাধারণতভারে মনে করা হয়, মূলত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র বা নেতা-কর্মীরাই এই প্যারা মিলিশিয়া বা রাজাকার বাহিনীতে ঢুকেছিল। কিন্তু ড. তারেক মুহাম্মাদ তাওফিকুর রহমানের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এই ধারণাটি নিত্তান্তই ভুল ধারণা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ভাই শেখ নাসের ৩৫ দিন লুকিয়ে ছিলেন। তিনিসহ আরো অনেক আওয়ামী নেতারা তখন আশ্রয় নিয়েছিলেন খন্দকার আবুল খায়েরের বাড়িতে। আর তিনি ছিলেন তৎকালীন সময়ে জামায়াতে ইসলামীর বিশিষ্ট নেতা এবং পাশাপাশি পেশাদার লেখক। তিনি লিখেন, “আমি যে জেলার লোক, সেই জেলার ৩৭ টি ইউনিয়ন থেকে জামায়াত আর মুসলিম-লীগ মিলে ৭০-এর নির্বাচনে ভোট পেয়েছিল ১৫০ এর কাছাকাছি। আর সেখানে রাজাকারের সংখ্যা ১১ হাজার, যার মাত্র ৩৫টি ছেলে জামায়অতে ইসলামী ও মুসলিম-লীগের। আমার গ্রামের খবর জানা আছে, যেখানে ৭১ এর ত্রিমুখী বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য গ্রামে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন যে, দুই দিকেই ছেলেদের ভাগ করে দিয়ে বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে।এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক যে গ্রামের শতকরা ১০০ জন লোকই ছিল নৌকার ভোটার, তাদেরই বেশ কিছু সংখ্যক ছেলেদের দেয় রাজাকারে।”৭
এবার একটু আলোকপাত করা যাক, মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে;
“মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের এক প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রাজনৈতিক ও নৈতিক অবস্থান নেন। তিনি পাকিস্তানীদের জালেম এবং মুক্তিযুদ্ধকে ‘জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই’ বলে অবহিত করেন। মুক্তিযোদ্ধা ইমদাদুল হক বলেন, আমি হাফেজ্জী হুজুরের খুব ভক্ত ছিলাম। যুদ্ধ চলাকালীন অনেক ছাত্র ট্রেনিং নিচ্ছিল। আমি হাফেজ্জী হুজুরের কাছে পরামর্শ চাইলাম। তিনি আমাকে বললেন, পাকিস্তানীরা বাঙালীদের উপর অত্যাচার করছে। সুতরাং তারা জালিম। তুমি যদি খাঁটি মুসলমান হও, ইসলামকে মান্য করো, তাহলে পাকিস্তানীদের পক্ষে যাও কিভাবে?”
* সিলেটের জকিগঞ্জ এলাকার মাওলানা আব্দুস সালামের বরাতে আমরা করাচির এক আলেমের কথা জানতে পারি। তিনি বলেন,
১৯৭১ সনে আমি করাচি ইউসুফ বিন নুরী মাদ্রাসার ছাত্র। বাংলাদেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে কিছু পাঞ্জাবি ছাত্র আমাদের সঙ্গে উৎপাত শুরু করে। এই সময়ে একদিন মুফতি মাহমুদ সাহেব মাদ্রাসায় আসলে আমি তার কাছে ব্যাপারটি উপস্থাপন করলাম। তিনি আমাকে সান্তনা দিয়ে বললেন, “ডরাও মাত, আল্লাহ হে”। মুফতি সাহেবের আগমনের সংবাদে আসরের নামাজের পর প্রচুর রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সাংবাদিক মাদরাসায় আসে। এ সময়ে এক নেতা বললো, “হযরত গাদ্দার কো গ্রেফতার লে আয়া, লেকিন আবি তাক কাতল্ বী নেহি কিয়া?” প্রশ্ন শুনে মুফতি সাহেব ক্ষুব্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “গাদ্দার কৌন, গাদ্দার কৌন? শেখ মুজিব গাদ্দার নেহি, অহ সুন্নি মুসলমান হ্যায়। হার্ সুন্নি মুসলমান কি জান আওর মাল কি হেফাজত কার্ না হার্ সুন্নি মুসলমান কে লিয়ে ওয়াজীব হে” পরেরদিন করাচির পত্রিকায় এই সংবাদটি প্রচার হয়েছিল।
উল্লেখিত আলোচনার দ্বারা এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, আলেমরা কখনো মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন না। তারা এটাকে সমর্থন করেছেন। যখন প্রয়োজন হলো, কর্মী দিয়ে বা সংবাদের মাধ্যমে তারা বাঙালীদের পক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। আর রাজাকার কারা ছিল, সেটাও আমরা দেখেছি। আসলে বাংলাদেশের সত্য ইতিহাসটা কখনো জনসম্মুখে আসে না। টাকা এবং অর্থের জোরে সেটা চাপা পড়ে যায় অনেক গহীনে। তবে ইতিহাস কখনো কাউকে ক্ষমা করবে না। একদিন না একদিন এই দেশের প্রকৃত ইতিহাস জনসম্মুখে আসবে ইনশাল্লাহ।।
তথ্যসুত্র ,
১) বাংলাদেশ : শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল । পৃষ্ঠা ১২০ । মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম । পৃষ্ঠা ১৫
২) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল । পৃষ্ঠা ২৫৫-২৫৬
৩) বঙ্গবন্ধুর ভাষণ । পৃষ্ঠা ২১
৪) কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা , প্রথম আলো । ২৬ মার্চ ২০১২ । মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম , পৃষ্ঠা ২৭ ।
৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলীলপত্র , ৫ম খণ্ড , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার , তথ্য মন্ত্রণালয় । পৃষ্ঠা ১১
৬) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলীলপত্র , ৫ম খণ্ড , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার , তথ্য মন্ত্রণালয় । পৃষ্ঠা ২৩২
৭) তারেক মুহম্মাদ তাওফিকুর রহমান, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলিম সমাজের ভূমিকা ও প্রভাব, একাডেমিক প্রেস এন্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি, ঢাকা , পৃষ্ঠা ৪৪-৪৫। মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম, পৃষ্ঠা ৪৩-৪৪