কলকাতার ভুতুড়ে রাস্তা

কলকাতার ভুতুড়ে শহর
• আব্দুর রহমান আল হাসান

মি. দুলাল শিকদার পশ্চিমবঙ্গের একজন বিশ্ষ্টি ব্যবসায়ী তার ব্যবসার পরিধি পুরো ভারতজুড়ে কলকাতা , দিল্লি , আসাম , হায়দ্রাবাদ ,বেঙ্গালোর নিয়ে তার বিস্মৃত ব্যবসার রাজ্য খুবই সুখী একজন ব্যাক্তি তিনি তার স্ত্রীর সাথে বসে সকালে নাস্তা করছেন আজকে তার শরীরটা ভালো না তাই ভাবলেন , শো-রুমে যাবেন না ম্যানেজারকে ফোন দিয়ে বললেন , সব সামলে নিও পরক্ষণে আবার বললেন, পারলে আমি আসবোসকালের নাস্তা শেষে মি. দুলাল তার বাড়ির সামনে বসে রইলেন বাড়ির পাশে রয়েছে সারি সারি ফুল গাছঅন্যপাশে আছে বড় একটি বাস্কেটবার যদিও অনেকে এটাতে ফুটবলও খেলে এই মুহুর্তে বাগানে কেউ নেই সবাই কাজে ব্যস্ত দুলাল সাহেব বাগানের পাশে অবস্থিত সুইমিংপুলের ইজিচেয়ারে বসে রইলেন এখানে অনেক মাছ আছে কেউ কেউ সময় কাটাঁনোর জন্য মাছ ধরে এখন দুলাল সাহেবের সেই ইচ্ছা নেই তিনি চেয়ারে বসে ভাবতে লাগলেন , ছোটবেলায় যখন তিনি স্কুলে পড়তেন ,সে সময় তাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটি রাস্তা ছিল যা এতটা নোংরা ছিল, বর্ষার সময় প্রায়ই স্কুলে যেতে পারতেন না জন্য স্যারের কাছে প্রচুর বকা খাওয়া লাগতো সে সময় তিনি প্রতীক্ষা করেছিলেন , যদি কখনো অনেক টাকা-পয়সা পান তাহলে তিনি এই রাস্তা ঠিক করবেন বছর খানেক পূর্বে যখন তার প্রথম বিজনেসে প্রচুর লাভ আসলো তখন তিনি সেই রাস্তাটি মেরামত করার জন্য এলাকার মেম্বারকে বলেন ,যত টাকা লাগে আমি দিবো এই রাস্তাটা ঠিক করুন কিন্তু মেম্বার সাহেব বললেন, দুলাল ভাই , এখানে অনেক ঝামেলা আছে তাই এটা করা যাবে না রাস্তা যেমন আছে ,তেমনই থাকুক দুলাল সাহেব ঠিক বুঝতে পারলেন না , একটা রাস্তা ভাঙ্গা রাখলে কি লাভটা হবে ? তারপর দুলাল সাহেব নিজেই লোক নিয়োগ দিয়ে রাস্তা ঠিক করা শুরু করলেন কিন্তু প্রায়ই রাতে এখান থেকে ইট-সিমেন্ট গায়েব হয়ে যাচ্ছিলো দুলাল সাহেব শত গার্ড নিয়োগ দিয়েও কিছু করতে পারলেন না পরে ভাবলেন , নিজেই এটা দেখবেন সেদিন রাতে সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর দুলাল সাহেব তার এক বিশ্বস্ত সহচরকে নিয়ে বের হলেন যখন রাত একটা বেজে আটচল্লিশ মিনিট বাজে তখনই এক ভয়ংকর আওয়াজে চারিদিক যেন কেঁপে উঠলো দুলাল সাহেব তার লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি হাতে নিলেন সতর্ক দৃষ্টিতে আশেপাশে দেখতে লাগলেন হঠাৎ দূরে একটি ক্ষেতের মধ্যিখানে আলো জ্বলে উঠলো সেখান থেকে দশ-পনেরোটা আত্মার মত বের হলো মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত মানুষের মত কোমর থেকে পা পর্যন্ত ভূতের মত দেখাচ্ছে দুলাল সাহেব এক পা , দুপা করে এগুলেন হঠাৎ কে যেন মাথায় শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করলো পিছে তাকিয়ে দেখেন , তার সহচর মাটিতে পড়ে রয়েছে শরীর থেকে মাথা আলাদা করা দৃশ্য দেখে সাথে সাথে দুলাল সাহেব অজ্ঞান হয়ে গেলেন যখন জ্ঞান ফিরলো,তখন দেখেন ঘরের মধ্যে চৌকিতে শুয়ে আছেন তিনি তার স্ত্রী তাকে বললো ,কেন তুমি এত রাতে বের হলে ?

দুলাল সাহেব হাসিবের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন স্ত্রী জানালো , তাকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে দুলাল সাহেব ভাঙ্গা গলায় বললেন, ছেলেটা বড্ড ভালো ছিলো আমার কারণেই তার জীবন গেল তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন আইনের আশ্রয় নিতে হবে তাকে কিন্তু এই পুলিশ বাহিনীর উপর তার একটুও বিশ্বাস নেই এরা হলো বিক্রিত প্রাণী কেউ তাদেরকে টাকা দিয়ে মিথ্যা বলতে বললে তারা অনায়েসেই মিথ্যা বলে যাবে একজন গোয়েন্দার আশ্রয় নেয়া দরকার কলকাতার কাউকেই তার বিশ্বাস হতে চায় না তখনই হঠাৎ একদিন ক্যাপ্টেন হাসানের সাথে দুলাল মিয়ার দেখা ঘটনাটা হঠাৎই ঘটে দুলাল মিয়া একটা কাজে হায়দ্রাবাদ গিয়েছিলেন তখন তিনিসহ আরো অনেক লোক একটা বিপদে পড়েন তা হলো, হায়দ্রাবাদ টাউন মার্কেটে হঠাৎ ডাকাত আক্রমণ করে সবাই খুব ভয় পেয়ে যায় তখন সেখানে ডাকাতদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আটজন ব্যাক্তি তারা কারা , দুলাল সাহেব চিনেন না তবে তিনি নিশ্চিত যে, তারা বাঙালী তারা দক্ষতার সাথে ডাকাতদের আটক করতে সফল হয় কিছুক্ষণ বাদেই পুলিশ আসে তারা উক্ত ব্যাক্তিদের কৃতজ্ঞতা আদায় করে দুলাল সাহেব তাদের সাথে পরিচিত হলেন তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলেন তারা বললো, তারা বাঙালী আর ইন্ডিয়ায় ঘুরতে এসেছেন পেশায় তারা গোয়েন্দা যদিও এখন পর্যন্ত তারা কোনো কেস সমাধান করেন নি দুলাল সাহেব তাদের নিকট তার অমিমাংসিত রহস্যটি বললেন তারা সাচ্ছন্দে রাজী হলেন দুলাল সাহেব তাদেরকে কলকাতায় নিয়ে এলেন

 

.

ক্যাপ্টেন হাসান ভাবলেন, একেবারে শুরু থেকে তদন্ত করা দরকার মূলত এই রাস্তাটা ঠিক করা যাচ্ছে না কেন ? যেহেতু দুলাল সাহেবের এই এলাকার পুলিশদের উপর কোনো বিশ্বাস নেই , তাই তাদের নিকট গিয়ে ক্যাপ্টেন হাসান তেমন কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না তিনি তার বস কর্ণেল তাহেরের সাথে কথা বললেন কর্ণেল তাহের বললেন, আমার সাথে ইন্ডিয়ার পুলিশ প্রধানের খাতির আছে তাকে তোমার ব্যাপারে বলে দিবো সেদিন ক্যাপ্টেন হাসান উক্ত রাস্তার আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে তেমন কিছু পেলেন না তবে এতুটুকু বুঝতেপারলেন , স্বাভাবিক একটা রাস্তা থেকে এটাতে একটু ভিন্নতা রয়েছে যদিও রাস্তাটার স্থানে স্থানে প্রচুর খারাপ অবস্থা তারপরও এটা খানিকটা ভিন্ন রকম তবে এই ভিন্নতাটা কেমন, ক্যাপ্টেন হাসান তা ধরতে পারছেন না

বিকালে তারা এলাকার একটি চায়ের দোকানে গিয়ে খানিকটা চা-নাস্তা করলেন তখনি একটা ছোট ছেলে তার নিকট আসলো তার অবস্থা দেখে বুঝা গেল , সে পথশিশু সে ক্যপ্টেন হাসানকে বললো, আঙ্কেল একটা লোক আপনাকে এটা দিয়েছে এই বলে সে একটি খাম দিলো ক্যাপ্টেন সেটা খুলে দেখলেন তাতে লেখা , “আপনি শুধু শুধু আপনার সময় নষ্ট করছেন আপনার মত উদীয়মান একজন তরুণের এসব ফালতু কাজে জড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয় আপনি বাংলাদেশে চলে যান  চিঠিটি পড়ে ক্যাপ্টেন হাসান ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কে তোমাকে এটা দিয়েছে , আমাকে দেখাও তো ? সে কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক তাকিয়ে বললো, তিনি তো চলে গিয়েছেন

ক্যাপ্টেন হাসান জানতেন, এমনটাই ঘটবে তারা কখনো হুমকি দিয়ে সেই স্থানে আর থাকে না এর মানে এই রাস্তায় কিছু আছে জন্য তারা ভয় পাচ্ছে না জানি আবার তারা ধরা পড়ে যায় !? ক্যাপ্টেন হাসান তার সকল সঙ্গীদের বললেন , যেহেতু হুমকি এসেছে তার মানে আমরা নিশ্চিত , এখানে কিছু আছে তাহলে এখন থেকে আমাদের মূল মিশন শুরু

ক্যাপ্টেন এলাকার বেশ কিছু ব্যাক্তিদের সাথে এই রাস্তাটা নিয়ে কথা বললেন মূলত সমস্যা কি, তা কেউই জানে না তবে সবার নিকটই কিছু চানচল্যকর তথ্য আছে কেউ কেউ রাতের বেলা দেখেছেন , এখান থেকে আলো বিচ্চুরিত হতে কেউ বা দেখেছেন, এই রাস্তার আশেপাশেজ্বীন-ভূতের আড্ডা তবে এদের মধ্যে বেশ কিছু ব্যাক্তিদের বর্ণনা ক্যাপ্টেন হাসানের নিকট অদ্ভুত লাগলো তার কিছুটা উল্লেখ করছি

জয়নাল মাঝি গঙ্গা নদীতে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তার বাড়ি এই গ্রামে সপ্তাহে একবার সে গ্রামে আসে অন্যান্য সময় নৌকা- হয় তার শয্যা নৌকা- হয় তার বাসস্থান সে কয়েকবছর যাবৎ অদ্ভুত কিছু জিনিষ দেখতে পাচ্ছে ভয়ে সে কাউকে বলতে পারে নি কয়েকবার এলাকার মেম্বারকে বলে কোনো লাভ হয় নি তিনি বলেন, আরে রাতে ঝিঁ ঝিঁ পোকার দল দেখে হয়তো তোমার ভূতের ছায়া মনে হয়েছে একদিন তিনি অনেক রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি যখন প্রধান সড়ক ছেড়ে এই রাস্তায় উঠেন, তখন তিনি দেখতে পান, রাস্তা কাপঁছে এই ভাঙ্গা রাস্তা যদি কাঁপে তাহলে তো আরো ভয় লাগে রাস্তার দুইপাশের গাছগুলো একটার সাথে আরেকটা লেগে প্রচুর ধূলা-বালি সৃষ্টি করছে কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যর বিষয় হলো, ঝড় এবং অদ্ভুত ঘটনাগুলো শুধু উক্ত স্থানই ঘটছে আশেপাশে সম্পূন্ন শান্ত পরিবেশ

কালিদাস পণ্ডিত বেশিরভাগ সময় মন্দিরে সময় কাঁটে তার যারা পুজো দিতে আসে তাদেরকে পুজো করিয়ে দেন তিনি একদিন রাত দুইটায় মন্দির থেকে বের হয়ে এই রাস্তা দিয়ে রায় ঘোষের বাড়ি যাচ্ছিলেন তখন দেখেন, এই রাস্তার উপরে কিছু অদ্ভুত মানুষ ঘুরাঘুরি করছে তাদের কাউকে পুরো মানুষও বলা যায় না আবার ভূতও বলা যায় না সবাই লোহার পোশাক পরিহিত একটা মানুষ হঠাৎ এসে তাকে ডাক্কা দিলো কালিদাস পণ্ডিত পড়তে পড়তে বেঁচে যান কিন্তু প্রচুর ব্যাথা পান তিনি

আকরাম হুজুর এই এলাকার একটি মসজিদের ইমাম নামাজ পড়ানোর পাশাপাশি তিনি একজন বড় ব্যবসায়ী দুলাল সাহেবের মত কয়েকটা প্রদেশ এবং দেশজুড়ে তার ব্যবসার পরিধি নামাজ পড়ান একমাত্র দ্বীনের স্বার্থে মসজিদ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেন না উল্টো তিনি এই মসজিদটি সংষ্কার করে দিয়েছেন যখন তিনি উক্ত মসজিদের ঈমাম হন , তখন এটা একটি টিনের মসজিদ ছিল তিনি কারো থেকে কোনোরুপ কালেকশন না করে আট মাসেই চার তলা মসজিদ তৈরী করে দেন তিনি একদিন তাহাজ্জুদ পড়ে ফজরের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন সেদিন একটু আগেই বের হয়েছিলেন আসার সময় তিনি এই রাস্তায় দেখতে পান, তিনটি মানুষের মত দেখতে ভূত দাড়িয়ে আছেএটা দেখে ইমাম সাহেব এখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়েনযখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখেন তিনি মসজিদের পাশে পড়ে আছেন

 

ক্যাপ্টেন হাসান তার সহকারী আকরামকে পাঠালেন এলাকার মেয়রের বাড়িতে ছদ্মবেশে নজর রাখতে আরো কয়েকজনকে  তিনি বিভিন্ন পোষ্টে নিয়োগ দিয়ে দিলেন তারপর ক্যাপ্টেন দুলাল সাহেবকে নিয়ে আজকে রাতে বাহিরে অবস্থান করবেন বলে ঠিক করলেন দুলাল সাহেব প্রথমে ভয়ে ভয়ে বলেছিলেন, তিনি রাজী নয় তখন ক্যাপ্টেন তার ভীরুতা নিয়ে হাসাহাসি করলে তিনি রাজী হলেন এখন শুধু রাত হওয়ার প্রস্তুতি বাকী কাজ তারপর হবে সাধারণত এই এলাকায় রাত দশটার পর কেউ আর বের হয় নাসবাই মনে করে তখন বাহিরে থাকা ঠিক নয়তাই তারা এশার নামাজের পরপর ঘুমিয়ে যায়এটা খুবই ভালো কাজতারপরও ক্যাপ্টেন হাসান অন্যান্যদের নিয়ে আজ রাতে মিশন পরিচালনা করবেন বলে ঠিক করবেনঘড়ির টাইম অনুযায়ী এখন রাত বারোটা আঠারো মিনিটক্যাপ্টেন হাসান বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহর উপর ভরসা নিয়ে ঘর থেকে বের হলেনচারিদিকে সুনসান নিরবতাএক অপার্থিব রহমত আকাশ থেকে পৃথিবীর  মানুষের জন্য বর্ষিত হচ্ছেক্যাপ্টেন দুলাল সাহেব আর অন্যান্যদের নিয়ে নীরবে, নিঃশব্দে উক্ত রাস্তাটির নিকট গেলেনসেখানে অনেক বড় একটা মেশিন দেখতে পেলেনতার চারপাশে মুখোশ পরিহিত গুটিকয়েক  মানুষ ঘুরাঘুরি করছেদুলাল সাহেব এটা দেখে বললেন, এত রাতে তারা এখানে কি করে? ক্যাপ্টেন হাসান কিছু বললেন নানীরবে তাদের কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলেনতারপর মনে মনে একটা প্ল্যান করলেন তিনিযদিও কতুটুকু সাকসেস হবেন, তা নিশ্চিত নয়ক্যাপ্টেন হাসান তাদের নিকট একজন সদস্যকে মুখোশ পরিয়ে পাঠালেনপ্রথমে তাকে তারা চিনতে পারে নিকারণ মুখোশ দুটো খু্বই কাছাকাছি মানের ছিলকিছুক্ষণ পর তারা একটি কোড বললে উক্ত সদস্য সেই কোডের উত্তর দিতে পারলেন না আর এতেই বাঁধলো বিপত্তিতারা তাকে ঘিরে ধরলো এবং গ্রেপ্তার করলোদুলাল সাহেব এটা দেখে আঁতকে উঠে তাকে বললেন,এটা কি করলেন স্যার? এখন কি হবে? ক্যাপ্টেন হাসান মৃদু হাসি দিয়ে বললেন ,কিছুই হবে না আমাদের তবে তাদের খুব খারাপ অবস্থা হবেকিন্তু কিভাবে ?” দুলাল সাহেব জিজ্ঞাসা করলেনক্যাপ্টেন হেসে বললেন,টপ সিক্রেট

মার্শাল আর্টের এলথোপাথাড়ি লাথি এসে লাগলো এক মুখোশ পরিহিত সদস্যের বুকে সে আর নিজেকে রক্ষা করতে পারলো না দূরে কয়েকজন এটা দেখে তাড়াতাড়ি এদিকে আসলো একজনকে বুকে ঘুষি অন্যজনকে একটা রাম থাপ্পর দিয়ে বসলো উক্ত সদস্য তারপর ভোঁ দৌড়! দুলাল সাহেব ক্যাপ্টেন হাসানকে জিজ্ঞাসা করলো, তিনি পালালেন কেন? ক্যাপ্টেন বললেন, এটা একটা বুদ্ধির খেলা সে পালাচ্ছে না বরং তাদেরকে ধরাশয়ী করতে নিয়ে যাচ্ছেকিছুক্ষণ পর উক্ত সদস্য ফিরে আসলো ক্যাপ্টেন তাকে বললো, কোনো নতুন খবর এনেছ? সে বললো, এই রাস্তার নিচে একটা সুড়ঙ্গ আছেতাতে ডাকাতরা মালামাল লুকিয়ে রাখে তবে তাতেপ্রবেশের রাস্তা অজানা

ক্যাপ্টেন হাসান বললেন, কোনো অসুবিধা নেই আমরা রাস্তা খুঁজে বের করবোতবে যদিও এটা একটু কঠিন, তারপরওক্যাপ্টেন তখন বললেন, চলো আমরা বাম দিকের ঝোপঁঝাড়ে খুঁজে দেখিদুলাল সাহেব বললো, এখানে কি প্রবেশপথ পাওয়া যাবে? ক্যাপ্টেন হাসান বললেন, সাধারণত ঝোঁপঝাড়েই ডাকাতরা সুরঙ্গ খুঁড়ে থাকেএই বলে তিনি সবাইকে নিয়ে উল্লেখিত স্থানে গেলেনক্যাপ্টেন হাসানের সন্দেহ সত্যি হলোপাওয়া গেল সুরঙ্গের রাস্তাসবাই মিলে ভেতরে প্রবেশ করলেনসুরঙ্গটি একটি বড় ঘরের সাথে গিয়ে মিলিত হলোসেখানে পাওয়া গেল এলাকার এতদিনকার মেম্বার সাহেবকেতিনি সেখানে বসে বসে সিগারেট খাচ্ছিলেনক্যাপ্টেন হাসান সবাইকে এরেস্ট করলেনতাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেল এক ভয়ঙ্কর তথ্যএই সুরঙ্গে প্রায়ই ডাকাতি করে জমা করা হয় সকল টাকা-পয়সাআর এই ডাকাতদের সর্দার হলো এই এলাকার মেম্বার সাহেব


শুরু৩০শে জুন ২০২১ তারিখে আর শেষ ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

#buttons=(আমি সম্মত !) #days=(20)

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনি ভালো আছেন। আমার সম্পর্কে আরো জানুনLearn More
Accept !