আবারও বিশ্বনন্দিত আলেম আল্লামা তাকী উসমানী হাফিঃ এর উপর সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা করা হয়েছে । নিচে একটি অনলাইন নিউজের লেখা দিচ্ছি ।
আবারও পাকিস্তানের আল্লামা তাকি উসমানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ফজরের নামাজের পর এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস নিউজ।
খবরে বলা হয়, ফজরের নামাজের পর এক ব্যক্তি আল্লামা তাকি উসমানির সাথে একান্তে কথা বলার অনুরোধ জানান। কিন্তু এ ব্যাপারে রাজি হচ্ছিলেন না তার দেহরক্ষীরা। পীড়িপীড়ি করলে দেহরক্ষীদের সন্দেহ হয় এবং লোকটার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে ছুরি উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে করাচি পুলিশ। করাচির কোরঙ্গি জোনের এসএসপি শাহজাহান খান বলেন, আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। কারণ আল্লামা তাকি উসমানি শুধু পাকিস্তানের নন, তিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য আর্শীবাদ। এর আগেও একবার তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তাই এর কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।
প্রসঙ্গত, আল্লামা তাকি উসমানির ওপর ২০১৯ সালেও হামলা করা হয়েছে। ওই বছরের মার্চে তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তার সাথে স্ত্রী ও দুই নাতি ছিলেন। তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও মারা যান তাকি উসমানির দুই দেহরক্ষী। আহত হয়েছিলেন তাকি উসমানি নিজে।
তারপর বিশ্বখ্যাত এই আলেমের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যেই আজ (৮ জুলাই) আবারও তাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটলো।
সুত্র; পাথেয় ২৪ ডট কম ।
২০১৯ সনের মার্চে একবার হুজুরের উপর হামলা হয় । কিন্তু তার দেহরক্ষী এবং ড্রাইভার এর একান্ত প্রচেষ্টায় তিনি বেঁচে যান । আল্লাহতালা তাকে সেদিন রক্ষা করেছিলেন দুর্বৃত্তদের হাত থেকে । কিন্তু তারা এখনও সক্রিয় । তারা চায়না বিশ্ব কোন বড় আলেম বেঁচে থাকুক । ইহুদি খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মাম্বলীরা মুসলমানদের চিরশত্রু । তারা সবসময় চায় মুসলমানদেরকে দমিয়ে রাখতে । কারণ তারা অতীত ইতিহাস জানে। একবার যদি এই মুসলমানরা গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ায় তাহলে তাদের রাজত্ব ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে । সেজন্য তারা সব সময় মুসলিম বড় বড় স্কলারদের পিছনে লেগে থাকে ।
তিনি যেই হোক , একটি কথা চিরসত্য । তারা মুসলমানদের পিছনে লেগে থাকে । বরং সে যে দলেরই হোক । আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, আহলে হাদিসসহ আরো যত বড় বড় মুসলিম স্কলাররা দল পরিচালনা করে , কেউবা নিজের অজ্ঞতা ভ্রান্ত পথে পরিচালিত হয় । কিন্তু তাদের একটাই পরিচয় তারা মুসলিম । তারা আল্লাহ তাআলাকে এক জানেন । শেষ নবী মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে খাতামুল আম্বিয়া হিসেবে সাব্যস্ত করেন । পাশাপাশি তারা যে যতুটুকু পারে, কোরআন-হাদিসের দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করেন । এদেরকে হত্যার চেষ্টা করে ইহুদী খ্রিস্টানদের এজেন্টরা । সুতরাং সাবধান, প্রত্যেকটি বড় বড় মুসলিম স্কলারদের সাথে অভিজ্ঞ বডিগার্ড থাকা উচিত । অন্যথায় তাদের জীবন হুমকির মুখে । তারা মারা গেলে তো সরকার দায়ভার নেবে না । যা করার স্বতন্ত্রভাবে করতে হবে । আজ হয়তো শুধু তাকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ এর ওপর হামলা হয়েছে । অদূর ভবিষ্যতে যে মাওলানা তারিক জামিল সহ আরো অনান্যদের উপরে হামলা হবে না, এর কোন গ্যারান্টি নেই । নিজে সতর্ক হোন। অন্যকে সতর্ক করুন ।
আব্দুর রহমান আল হাসান
লেখক