জমজমাট ভূতের আড্ডা ৬

আব্দুর রহমান আল হাসান

মাতবর সাহেব ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রগুলো গাড়িতে উঠিয়ে নিচ্ছেন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ,এই গ্রামে আর থাকবেন না চলে যাবেন অন্য কোথাও তার সাথে আরো কয়েকটি পরিবারও নুহাশপুর গ্রাম ছেড়ে চলে যাবে তার এই চলে যাওয়া দেখে গুরাবা টিমের সদস্য দৌঁড়ে আসলেন বললেন, আপনি যদি চলে যান তাহলে এই গ্রামের কি হবে ?

মাতবর সাহেব বললেন,যদি ভালো চান তাহলে আপনাদের লোকদের জঙ্গল থেকে নিয়ে আসেন পরে তাদের লাশও খুঁজে পাবেন না উক্ত সদস্য আর কিছু বললেন না তিনি সাথে সাথে ক্যাপ্টেন হাসানের সাথে যোগাযোগ করে বললেন, ক্যাপ্টেন এখন আমাদের করণীয় কি? ক্যাপ্টেন বললেন, আমাদের জঙ্গল শেষ করতে আর মাত্র একদিন লাগবে তারপর এসে আমরা আলোচনা করবো আর দ্বিতীয় টীমের খবর কি? উক্ত সদস্য বললেন, তাদের একজনকে সাপ দংশন করেছে তবে তারা সুস্থ আছে তারা কিছুটা যাত্রা বিরতি দিয়েছে

দুইদিন পর .......................................

ক্যাপ্টেন হাসান তার দল নিয়ে নুহাশপুর গ্রামে ফিরে আসলেন দ্বিতীয় দল বিকাল নাগাত চলে আসবে ক্যাপ্টেন হাসান এসে দেখেন, মাতবরের বাড়িতে কেউ নেই কিন্তু তার টিমমেট কই গেল, তাও সে জানায় নি এখন তাকে কোথায় খুঁজবেন? ক্যাপ্টেন হাসান মাতবরের বাড়ির পুকুর পাড়ে বসে আছেন এমন সময় একজন ভিক্ষুক আসলো এসে বললো, ৩৭৮৫৭= বি এম এটা শুনে ক্যাপ্টেন চমকে পিছনে তাকালেন মূলত এটা হলো তাদের সদস্যদের মধ্যকার কোড নম্বর ক্যাপ্টেন তখন বললেন, ৯৯৮০=১৩-এইচ তখন উক্ত ভিক্ষুক তার বেশ খুললো ক্যাপ্টেন দেখেন, মাতবরের বাড়িতে থাকা সদস্য এই বেশ নিয়ে দাড়িয়ে আছেন সে তখন ক্যাপ্টেনকে বললো, ক্যাপ্টেন আমি দুঃখিত এখানে অনেক কাহিনী ঘটে গিয়েছে আপনাকে তা জানানোর সুযোগ পাই নি ক্যাপ্টেন তখন বললেন, বিস্তারিত বলো কি হয়েছে?

সে বললো, যেদিন মাতবরের ছেলে মারা গেল, সেদিন আমি তাকে বলেছিলাম আপনি ধৈর্যধারণ করুন। কিন্তু তিনি তা না করে পরেরদিন এই গ্রাম ছেলে চলে গেলেন। পরেরদিন থেকে গ্রামে ভূতদের আক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে লাগলো। আমি তো মাতবরের বাড়িতে ছিলাম। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পর আমি অন্য এক বাড়িতে আশ্রয় নেই। কিন্তু সেদিন রাতে ভূতেরা আক্রমণ করে সেই বাড়ির কর্তাকে মেরে ফেলে। আর একটা কথা বলতে আমি ভুলে গিয়েছি,সেদিন মাতবরের ছেলে মারা গেল, সেদিন আমি শহর থেকে একটা ক্যমেরার লেন্স কিনে আনি। তাই সে মারা যাওযার পর আমি লাশের বেশ কয়েকটা ছবি তুলে রাখি। কেননা আমার মনে হয়েছে, এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ক্যাপ্টেন তখন বললেন, ছবিগুলো দাও তো। ফলে সে ছবিগুলো ক্যাপ্টেনকে দিলো। ক্যাপ্টেন একটা ছবি দেখে বললেন, এটা গাড় এবং মাথার ছবি। কিন্তু তার গাড়ের বাম পাশে এটা কিসের দাগ? এটা শুনে সবাই সেটা আগ্রহ নিয়ে দেখলো। একজন বললো, আমার অনুমান যদি ভুল না হয় তাহলে এটা সূক্ষ্ম কিছু দিয়ে আছঁড় দেয়ার দাগ। ক্যাপ্টেন তখন বললেন, কিন্তু সেটা কি?কেউ একজন বললো, এটা কি প্লাষ্টিকের তৈর বড় বা ধাঁরালো নখ হতে পারে? ক্যাপ্টেন তখন বললেন, রাইট। এটাই হবে। তবে এটা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না, আরো প্রমাণ লাগবে। অন্যান্যরা সবাই উক্ত ছবিগুলো খুব আগ্রহভরে দেখলো। আরেকটার পাশে ছোট একটা কাগজ লিখিত আছে।তবে তা অস্পষ্ট। কিন্তু অল্প একটু বুঝা যায়। তাতে লেখা আছে,”আমাদের সাথে না থেকে .............পরিণতি ভালো হবে না।”বড় আফসোসের বিষয় হলো, এই কাগজটা কেউ খেয়াল করলো না।”তাহলে আমরা কি বুঝতে পারলাম?”একজন জিজ্ঞাসা করলো। ক্যাপ্টেন হাসান কিছুটা মুচকি হেসে বললেন, আমি সম্ভাব্য একটা বিষয় ভাবছি।এটা সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬০%।

#buttons=(আমি সম্মত !) #days=(20)

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনি ভালো আছেন। আমার সম্পর্কে আরো জানুনLearn More
Accept !