প্রচলিত পোস্টার ও ব্যানারে শিরকের প্রতিচ্ছবি

আব্দুর রহমান আল হাসান ।

আমাদের এই সময়ে শিরক কাকে বলে ? তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই । আমাদের কার্যকলাপ বা কথাবার্তার মধ্যে কি শিরকের ছোঁয়া আছে নাকি  , তা নিয়ে আমরা কখনো ভেবে দেখি না । আজ আমরা এমন এক সময় অবস্থান করছি ,যখন মানুষ নিজেকেই মনে করে কর্তা ।অথচ তার যে একজন পালনকর্তা রয়েছে , সেটা নিয়ে তার বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই । আমি আপনাদের নিচে একটি ফটো দেখাচ্ছি । এটা একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন ।

প্রচলিত পোস্টার ও ব্যানারে শিরকের প্রতিচ্ছবি

এখানে এমন একটা বাক্য লেখা আছে , যা কখনো একজন সাধারণ মুসলমান লেখতে পারে না । এটা কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফটো নয় । ঢাকা মোহাম্মদপুর এলাকার একটি ব্যানারের ছবি । আমরা স্লোগান দিয়ে নিজেদের ঈমান - আকীদা কেন নষ্ট করছি ? তুমি তোমার দলকে সাপোর্ট করতে পারো ঠিক কথা । কিন্তু তুমি খোদা বা সৃষ্টিকর্তাকে টপকে যেতে চাও কেন ?

নবীজি যেদিন বিদায় হজ্জ্বের ভাষণ দিয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন ,

لا ترجعوا بعدي كفارا  يضرب بعضكم رقاب بعض

আমার পরে তোমরা পরস্পরকে হত্যা করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না ।

সহীহ বুখারী , হাদীস নং ১৭৩৯

তারপর কোরআনে সূরা বাকারার ৮৮ নং আয়াতে আছে ,

وقالوا قلوبنا غلف ، بل لعنهم الله بكفرهم فقليلا ما يؤمنون

তারা দাবী করেছিল যে , “আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত ” বরং কুফরী করার কারণে আল্লাহ তাদেরকে অভিসম্পাত করেছেন , অতএব তাদের অল্প সংখ্যকই ঈমান আনে ।

উপরোক্ত ফটোতে যেটা লেখা হয়েছে , একজন মুসলিম কখনো তা লিখতে পারে না । আর যদি কোনো মুসলমান ইচ্ছাকৃতভাবে তা লিখে থাকে তাহলে সে মুসলমানদের সাথে গাদ্দারী করেছে ।আর তখন তাকে মুসলমান হিসেবে ধরা যাবে না । তাদের ব্যাপারে কোরআনে সূরা নিসার ১৩৮ নং আয়াতে আছে ,

بشر المنافقين يان لهم عذابا اليما

মুনাফিকদের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও যে , তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে ।

অতএব মুসলমানেরা , আসুন সতর্ক হই , নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান । তাহলে আপনার ইহকাল এবং পরকাল দুটোই শান্তিতে ভরে উঠবে ।


#buttons=(আমি সম্মত !) #days=(20)

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনি ভালো আছেন। আমার সম্পর্কে আরো জানুনLearn More
Accept !