বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের গভীর থাবা ।
আব্দুর রহমান আল হাসান ।
বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র। এ দেশে বর্তমানে মুসলিম হলো,
৮৬.৬% । আর হিন্দু হলো . ১২.১% । হিন্দু ধর্মে গো-মাংসের ব্যাপারে কি আছে . তেমন কিছু
জানা নেই । তবে যেই জিনিষটা আমার নিকট সবচেয়ে অবাক লাগলো , বাংলাদেশে হিন্দুদের অতিরিক্ত
উৎপরতা । তারা বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে , ধর্মীয়
ইবাদাতের ক্ষেত্রে ঝামেলা সৃষ্টি করছে । আমি নিচে একটি ফটো দিচ্ছি , তা ভালোভাবে খেয়াল
করুন ।
![]() |
উক্ত দরখাস্ত |
এটি বাংলাদেশ সুপ্রীম কো্র্টে আইনজীবি সমিতির একটি দরখাস্ত । এখানে বলা
হচ্ছে , গত ২৯/০৫/২০২১ তারিখ রাতে সুপ্রীম কোর্টের বার ক্যান্টিনে গো-মাংস রান্না করা
হয় । এবং পরবর্তীতে ৩০/০৫/২০২১ তারিখে আবার রান্না করা হয় ।
এই দুই লাইন নিয়ে একটু পর্যাচলোনা করি , বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে সবসময় সম্মান করা হয় । এবং তাদের যতুটুকু সম্ভব সম্মান করা হয় । আমাদের মুসলিম ধর্মে গো-মাংস হালাল । সুতরাং হিন্দুরা যেভাবে প্রতিবছর আমাদের এই হালাল কাজটায় বাধাপ্রধান করছে , অদূর ভবিষ্যতে কি হয় , তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন ।
উক্ত দরখাস্তের ৫ নং লাইনে রয়েছে , ”বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতি
ঐতিহ্যগতভাবেই এর সৃষ্টিলগ্ন হতে সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল রেখে কখনো গো-মাংস রান্না ও পরিবেশন করা হয় নি । হঠাত্
করে এ ধরনের তত্পরতায় আমরা অবাক ।” উক্ত কথাগুলার দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করুন । বলা
হচ্ছে , সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতি এর সৃষ্টিলগ্ন হতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি
শ্রদ্ধাশীল রেখে কখনো গো-মাংস রান্না ও পরিবেশন করা হয় নি । তাহলে এই সমিতিতে কতজন
মুসলিম রয়েছে , তা সত্যিই একটি প্রশ্নের বিষয় ।
তবে আমরা নিচের সাক্ষর দেখে তা অনুমান করতে পারি । এখানে রয়েছে ,
বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস ( সভাপতি )
অনুপ কুমার সাহা ( সম্পাদক )
জয়া ভট্টাচার্য ( আহবায়ক )
মিন্টু চন্দ্র দাস ( সদস্য সচিব )
উপরোক্ত ৪ জনের মধ্যে একজন মুসলমান ও নাই । তাহলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে
হিন্দুত্ববাদের প্রভাব কেমন , তা অনুমান করা যায় । ৮৬.৬% মুসলমানের দেশে আজ কেন এগুলো
এ দেশের জনগণের দেখতে হচ্ছে , জানা নেই । জনগণ এটার একটি নিরপেক্ষ বিচারের প্রত্যাশায়
রইলো ।
যদিও তা অনেক দূর ।