প্রায় মাসখানেক পূর্বে একজন নওমুসলিমকে হত্যা করেছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা।তার অপরাধ কি ছিল? তিনি মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন।তার দ্বারা সেখানে ৩৬টি পরিবার ইসলামের সুশীতল ছায়ায় নিজেকে অর্পণ করেছে।তার অপরাধ এটাই।তিনি পূর্বে খৃষ্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন।২০১৪ সনের কোনো এক স্নিগ্ধ রজনীতে নিজেকে ইসলামের জন্য সোপর্দ করেন।তারপর ইলমে দ্বীন শিখে অন্যদের মাঝে তিনি ইসলামের বাণী পৌছিয়ে দিয়েছেন।তার ওসিলায় সেখানে একটি ইসলামের মারকায মসজিদও নির্মাণ হয়েছে।সেটা সম্পূন্ন তিনি নিজেই তৈরী করেন।গত ১৮ই জুন ২০২১ তাকে উক্ত সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে।সরকার আজ পর্যন্ত তার কোনো সুষ্ঠ বিচার করে নি।এটা বাংলাদেশ রাজনীতির একটা কলঙ্কজনক অধ্যায়।গতকালকের পত্রিকায় দেখলাম আরেক নতুন নিউজ।বান্দরবানের যেই এলাকায় নওমুসলিম ওমর ফারুকসহ অন্যান্য মুসলিম পরিবাররা থাকতেন,সেই মুসলিম পরিবারগুলো তাদের জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।সন্ত্রাসীরা তাদের সামনে দুইটা পথ খোলা রেখেছে।হয় ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করো, না হয় বাড়ী-ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাও।উক্ত ঘটনাটি ঘটছে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার তুলাছড়িতে।স্থানীয় সুত্র থেকে জানা যায়,নওমুসলিম ওমর ফারুক ২০১৪ সনে অমুসলিম থাকাকালীন তার নাম ছিল ”পূর্ণেন্দু ত্রিপুরা”।তারপর মুসলিম হওয়ার পর তার নাম হয় ওমর ফারুক ত্রিপুরা রহঃ। তাকে হত্যা করার পর তার স্ত্রী রাবেয়া থানায় পাচঁজনের নামে মামলা করেন।কিন্তু কিছুই হয় নি।বাংলাদেশের পুলিশ বলে কথা।ঘুষ খেয়ে তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে বসে লকডাউন পালন করছেন!।এই ঘটনা নিয়ে সে সময় সোস্যাল মিডিয়ায় খুব সবর হলে সরকার কিছুটা বিবৃতি দিয়েছিল।কিন্তু এখন তা ও কেউ পালন করছে না।বাংলাদেশে অধিবাসী নিয়মে কি রয়েছে,তা আমার জানা নেই।তবে আমি এটা জানি,এই অধিবাসীরা প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার এবং দেশে মাদক চোরা চালান করে।আর এই কাজগুলো আঞ্চাম দেয়,পাহাড়ী সন্ত্রাসরা।
আমি কিছুদিন পূর্বে এক ভিডিওতে বলেছিলাম,বাংলাদেশে ইস্যুর উপরে ইস্যু তৈরী হয়।এখানে একটি নতুন ইস্যু আসলে তা নিয়ে সকলেই সপ্তাহখানেক লাফালাফি করে।তারপর একসময় আবার একটি নতুন ইস্যু তৈরী হয়।তখন সকলেই সেদিকে ছুটে।এটা বাংলাদেশের রাজনীতির চিরায়িত নিয়ম।
আমার মতে,সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের শুধু শুধু দেশের হেডকোয়ার্টারগুলোতে বসিয়ে না রেখে তাদেরকে সীমান্তে মোতায়েন করুন।আর বাংলাদেশ একটি সাংসদীয় ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রত্যেক নওমুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া সরকারের কর্তব্য।ইসলামিক রাষ্ট্র বললাম এই কারণে,বাংলাদেশের সংবিধানে লেখা আছে,বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।এর পাশাপাশি পূর্বে যারা নওমুসলিমকে হত্যা করেছে, তাদের যথাযত বিচার করে আইনের আওতায় আনা উচিৎ।