শিয়াদের দলসমূহের পরিচয় – আব্দুর রহমান আল হাসান

শুরু থেকেই শিয়ারা বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত ছিল এই বিভক্তিটা কিন্তু কোনো মতবিরোধমূলক বিভক্তি নয় এটা তাদের বড় বড় নেতাদের অনুসারীদের দিকে উদ্দেশ্য করে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হতো বিশেষ করে এদের মধ্যে বাতেনী সম্প্রদায় উল্লেখযোগ্য কারণ তারা আফ্রিকায় দীর্ঘ সময় রাজত্ব এবং অধিপত্ব বিস্তার করে রেখেছিল এক এক করে শুরু করি

নাসিরিয়্যাহ্ সম্প্রদায়:

এই দলটিকে শিয়াদের মাঝে সবচে বেশি উগ্রপন্থী গণ্য করা হয় তারা নিজেদেরকে ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে নাসির আল মানীরীর দিকে সম্পৃক্ত করে এরা শিয়া রাফেযিদের ইসনা আশারিয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম দল হযরত আলী রা. এর ব্যাপারে এরা বাড়াবাড়িমূলক চিন্তা লালন করে এমনকি তারা তাকে ইলাহ্ বা খোদা বলে সাব্যস্ত করে (নাউযুবিল্লাহ)

তাদের অন্যতম মিত্র হলো উগ্রপন্থী খৃষ্টানরা এই উগ্রপন্থি বর্বর খৃষ্টানরা তাদের নিকট অস্ত্র সরবরাহ করতো নাসিরিয়্যাদের সাথে কুখ্যাত তাতারী বাহিনী বা মোঙ্গলীয়ানদের মিত্রতা ছিল দেখার মতো যুদ্ধে তারা তাতারীদের পক্ষে অবস্থান করতো নাসিরিয়্যারা সর্বদা আল্লাহ তার রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে থাকে তারা নবীজির বহু হাদীসকে বিকৃত করে এবং সমাজে বহু বানোয়াট হাদীস ছড়িয়ে দিয়েছে

বিখ্যাত ঈমাম তকীউদ্দিন ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, শিয়াদের নাসিরিয়্যাহ্ দলের লোকেরা এবং বাতেনী সম্প্রদায়ের লোকেরা ইহুদী-খৃষ্টানদের থেকেও অধিক মুসলিম বিদ্বেষী তারা সর্বদা মুসলমরাদের ক্ষতিসাধনে লিপ্ত থাকে তারা যুদ্ধের ময়দানে কাফেরদের সাথে অবস্থান করে তারা সর্বদা অজ্ঞ-মূর্খ মুসলমানদের বিপদগামী করার জন্য লিপ্ত থাকে তারা পরকাল, জান্নাত-জাহান্নাম, নবী-রাসূলে বিশ্বাসী নয় তাদের আকীদা হলো, আলাদা একটা ভ্রান্ত ধর্ম

কুখ্যাত তাতাররা যখন ইসলামী খেলাফতের রাজধানী বাগদাদ দখল করে তখন তারা এই সম্প্রদায়ের পত্যক্ষ পরোক্ষ সহায়তায় যুদ্ধ করে সমর বিজ্ঞদের মতে, যদি তাতাররা এই বাহিনীর বা এই গোষ্ঠীর কোনোরুপ সহায়তা না পেত তাহলে তারা কখনো বাগদাদ দখল করতে পারতো না

এই নাসিরিয়্যাহ সম্প্রদায়ের লোকেরা বিভিন্ন নামে মুসলমানদের মাঝে পরিচিত তাদের নামগুলো হলো, মুলহিদ, কারামেতা, বাতিনিয়্যাহ, ইসমাঈলিয়্যাহ, খারমিয়া মাহমারা

শিয়াদের আত্মপ্রকাশ কিভাবে ঘটলো? জানতে পড়ুন

এই নামগুলো দ্বারা কখনো তাদের সম্পূর্ণ নাসিরিয়্যাহ দলকে বুঝানো হয় আবার কখনো তাদের মধ্যকার বিশেষ শ্রেণীকে বুঝানো হয় মোটকথা যেটাই হোক, এরা সবাই শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূ্ক্ত

অনেকেই ভাবেন, তারা তো মুসলমান, এটা একটি ভুল কথা তাদেরকে মুসলিম স্কলাররা ধর্মত্যাগী মুরতাদ বলেছেন তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, তাদের উপর শাস্তি আরোপ করা ঈমানী দায়িত্ব হযরত আবু বকর রা. তার যামানায় মুরতাদদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন অতএব, তাদের ব্যাপারে কেউ কিছু জানলে সেটা অন্যকে জানিয়ে সতর্ক করে দিতে হবে

বর্তমানে এই নাসিরিয়্যাহ দলটি আলাভী নামে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সিরিয়াতে তারা সর্বদা মুসলিম নিধনে খৃষ্টানদের পক্ষে যুদ্ধ করে তারা হলো রাজাকার, গাদ্দার, মুনাফিক, লম্পট জঙ্গী

নাসিরিয়্যাহ সম্প্রদায়ের কিছু ভ্রান্ত আকীদাসমূহ:

. ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব রা. কে ইলাহ বা সর্বসবা মনে করা তারা মনে করে, তিনি মেঘমালায় থাকেন, বজ্রধ্বনি হলো তার আওয়াজ বিজলী হলো তার হাসি জন্য তাদের কেউ কেউ মেঘমালাকে খুব সম্মান করে থাকে (কি হাস্যকর কথা)

. মানুষ পুনর্জীবন লাভ করে শিয়ারা বা নাসিরিয়্যাহরা বিশ্বাস করে, তাদের মতে, যারা আলী রা. এর ইবাদত করে না, তারা গাধা, ঘোড়া খচ্চরের আকৃতিতে পূনর্জন্ম গ্রহন করে আর যারা আলী রা. এর ইবাদত করে তথা তাদের মুমিনরা প্রতিজন সাতবার পুনর্জীবন লাভ করে

. তারা বছরে দুইটি ঈদ পালন করে যেদিন তারা সকলে সমবেত হয় সময় তারা নাবীষ পান করে এবং নানান অশ্লীল গর্হিত কাজ করে ঈদ দুটি হলো,

* ঈদুল গুতাস ওয়াল বারবারা দুটি খৃষ্টানদের উৎসব

* ঈদুল নাইরোজ এটি অগ্নিপূজকদের উৎসব

শিয়া ইসনা আশারিয়্যাহ:

ইসনা আশারিয়্যাহ হলো শিয়াদের আরেকটি গ্রুপ যাদের আরো কিছু নাম আছে ইমামিয়্যাহ তাদের আরেকটি নাম তারা ইসনা আমারিয়্যাহ নাম দিল এই জন্য, তারা বারোজন ইমামকে তাদের গুরু মানে শিয়ারা বিশ্বাস করে, এই বারোজন ইমাম মৃত্যুবরণ করেন নি তারা আবার ফিরে আসবেন এই বারোজন ইমামের নাম হলো,

. আবুল হাসান আলী ইবনে আবী তালিব

. আল হাসান বিন আলী বিন আবী তালিব

. আল হুসাইন বিন আলী ইবনে আবী তালিব

. আলী যাইনুল আবিদীন ইবনে হুসাইন বিন আলী

. মুহাম্মাদ আল বাকির ইবনে আলী

. জাফর আস সাদিক ইবনে মুহাম্মাদ

. মূসা আল কাযিম ইবনে জাফর

. আলী ইবনে মূসা আর রিযা

. আবু জাফর মুহাম্মাদ বিন আলী আল জাওয়াদ

১০. আবুল হাসান আলী ইবনে মুহাম্মাদ আল হাদী

১১. আবু মুহাম্মাদ আল হাসান ইবনে আলী আল আসকারী

১২. আবুল কাসিম মুহাম্মাদ বিন হাসান আল মাহদী

শিয়া সম্প্রাদায়ের ‍পরিচয় জানতে পড়ুন

এই হলো শিয়াদের বারোজন ঈমাম শিয়ারা ধারণা করে, এই সকল ঈমাম নবীদের থেকেও পবিত্র তাদের কোনো গুনাহ নেই তারা পাপাচার থেকে মুক্ত তাদের উপর কোনো শরীয়ত কার্যকর হবে না (নাউযুবিল্লাহ)

এই হলো শিয়াদের বড় দলসমূহের দুইটি

তাদের ফেৎনা বড় ভয়ানক। তাদের থেকে বেঁচে থাকা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহ আমাদের তাদের থেকে হেফাজত করুন আমীন। 

#buttons=(আমি সম্মত !) #days=(20)

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনি ভালো আছেন। আমার সম্পর্কে আরো জানুনLearn More
Accept !